পাঠদান পদ্ধতি
উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর সকল পর্যায়ে বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে কোর্সসমূহ শেষ করা হয়। এছাড়া বাস্তব জীবনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ছাত্রছাত্রীদেরকে উপযোগী করে গড়ে তুলতে কলেজে অনুসরণ করা হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর পাঠদান পদ্ধতি। এই পাঠদান পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্ন সংক্ষেপে বর্ণিত হলো।
ক. কোর্সসমূহের বিন্যাস
শিক্ষাবর্ষের শুরুতে প্রতিটি কোর্সকে একাধিক সিমেস্টারে ভাগ করে একটি সাধারণ কর্ম-পরিকল্পনা ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেয়া হয় যাতে তারা পুরো কোর্স, সিমেস্টার, ক্লাস টেস্ট, টার্মপেপার, মাঠকর্ম ও টিউটোরিয়াল সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে।
খ. শ্রেণিকক্ষে পাঠদান
দু’টি লক্ষ্যকে সামনে রেখে শিক্ষক শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করে থাকেন;
১. নির্দিষ্ট সময়ে কোর্স সম্পন্ন করা;
২. প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী পুরো কোর্সটি সম্যকভাবে উপলদ্ধি করতে পেরেছে কিনা তার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়। এ লক্ষ্যে শিক্ষকগণ লেকচারের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজন মাফিক তথ্য ও লেকচার সিট সরবরাহ করে থাকেন। ছাত্র-ছাত্রীদের অগ্রগতি মূল্যায়নের লক্ষ্যে একাডেমিক কমিটির সভায় বিস্তারিত পর্যালোচনা সাপেক্ষে বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
গ. ক্লাসের সময়সীমা ও সংখ্যা
কোর্সের পরিধি ও শিক্ষার্থীদের গ্রহণ ক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ক্লাসের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয় এবং শিক্ষাবর্ষের শুরুতে কোর্স আউট লাইনের মাধ্যমে ক্লাস সংখ্যা জানিয়ে দেয়া হয়। প্রতিটি ক্লাসের সময়সীমা ৪৫ মিনিট।
ঘ. ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক
শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকে অধিকতর কার্যকরী ও ফলপ্রসু করার জন্য এবং ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
ঙ. অতিরিক্ত বিশেষ ক্লাস
তীক্ষè মেধাসম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীগণ যাতে সর্বোচ্চ জিপিএ (এচঅ) অর্জন করতে পারে এবং স্বল্প মেধাসম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীরাও যাতে সন্তোষজনক ফলাফল লাভে সক্ষম হয় সে লক্ষ্যে উভয় গ্রæপের জন্য অতিরিক্ত বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়।
চ. শিক্ষা সফর
অত্র কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কলমে শিক্ষা দেয়ার জন্য শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা রয়েছে।